নাফনদী:
টেকনাফ সদর থেকে নাফনদীর দূরত্ব প্রায় দেড় কিলোমিটার। কেবলমাত্র প্রকৃতি প্রেমীরা ছুঠে যান সৃষ্টির অপরুপ সৌন্দর্য উপলব্ধি করতে নাফ নদীর তীরের দিকে। আবার অনেকে শহরের দিকে না গিয়ে পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থিত পর্যটন হোটেল নেটং এ অবকাশযাপন করেন।নাফ নদীর উপরে নেটং পাহাড়ের পাদদেশে দাড়াঁলে চোখে পড়ে পাশ্ববর্তী দেশ মায়ান মারের কাটাঁতারের সীমানা প্রাচীর ।
নেটং পাহাড়:
টেকনাফ শহর থেকে প্রায় দুই কিলোমিটার দূরে টেকনাফ-কক্সবাজার সড়কের পাহাড়ের চুড়াঁয় এটি অবস্থিত। নেটং পাহাড়ে হাতি, হরিণ, বানর, ভুতুম পেঁচা, পাহাড়ি মুরগ, ময়ুঁর ও মেছো বাঘসহ এখানে দেখা মিলবে কয়েক প্রজাতির পশু-পাখির। এখানে শীত মৌসুমে হাতি, হরিণ, বানর বিচরণের দেখা মিলে। দূর্গম ও আকাঁ-বাঁকা পাহাড়ে পথে চলার সময় দেখা যাবে নয়নাভিরাম প্রাকৃতিক সৌন্দর্য। নেটং পাহাড়ে যাওয়ার পথেই দেখা যায় নানান প্রাকৃতিক নিদর্শন। বছর জুড়ে এখানে বয়ে চলে প্রাকৃতিক ঝর্ণা ধারা। এ জলধারা পাথরের ওপর দিয়ে নেমে চলে নিরন্তর। তার অতি সন্নিকটে রয়েছে ব্রিটিশ বাংকার। কিছু দূর পায়ে হেঁটে যাবার পর দেখা যায় আরেক প্রাচীন নিদর্শন বৌদ্ধদের তীর্থস্থান বর্তমানে প্রায় বিলুপ্তি পথে। নেটং পাহাড়ের শীর্ষে উঠে নিচে দিকে তাকালেই বুঝতে পারবেন, অনেক উঁচুতে উঠে এসেছেন আপনি। পাহাড়ের সারি আর পূর্বে নাফনদী ও মিয়ানমারের পাহাড় দেখে মুগ্ধ না হয়ে পারবেন না। একটু সামনে এগোলেই দেখা মিলবে আরেকটি পাহাড়ের বিট্রিশ আমলে স্থাপিত টি এন্ড টি ভবন। ভ্রমণপ্রিয় হলে উঠে পড়–ন পাহাড়ের চূড়ায়। পাহাড়ের কাছাকাছি গেলেই একটি সরু পথ খুঁেজ পাওয়া যাবে। এ পথে চলতে চলতে পাহাড়ি ঘাস, লতা, পাতা আটকে ধরবে । মনে হবে র্দীঘদিন এ পথে হাটেনি কেউ। শেষটা দেখতে চাইলে এই কাটাময় পথেই হাটতে হবে অনেকক্ষণ। অবশেষে পাহাড়ের র্শীষে উঠে একটি চোখ বাধাঁনো মাঠের দেখা মিলবে। পাহাড়ের অপরূপ সৌন্দর্য দেখার আনন্দই অন্য রকম। বৌদ্ধদের জাদির অপরূপ সৌন্দর্য মুগ্ধ করবে যে কাউকে। বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা তৎকালিন সময়ে এখানে উপাসনা করত এ নেটং পাহাড়ে।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস